ঘরের ভেতর থেকে পানি নেমেছে। ভেসে উঠেছে বন্যার ক্ষত। মেঝে, বারান্দা এখনো স্যাঁতসেঁতে। নরম কাদামাটিতে পা দিলে দেবে যায়। সবকিছু এলোমেলো হয়ে আছে। খাটের ওপর ভেজা কাঁথা-বালিশ আর কাপড়ের স্তূপ। দুই ছেলের বউকে নিয়ে ভেতরের কাদা লেপে তার ওপর ইট, পলিথিন বিছিয়ে হাঁটার উপযোগী করছিলেন ষাটোর্ধ্ব নছিবুন বেগম।
এই কদিন পরিবারের সবাই আশ্রয় নিয়েছিলেন গ্রামের অন্য এক বাড়িতে। গতকাল শুক্রবার রাতে ঘর থেকে পানি নামায় আজ শনিবার সকালে বাড়িতে এসেছেন। এসেই নতুন করে আবার সবকিছু গোছগাছ করতে কাজে লেগেছেন তাঁরা। সবাই ব্যস্ত। বন্যায় ঘরছাড়া এই নারীদের চোখেমুখে কষ্টের ছাপ।
আজ দুপুরে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে নছিবুন বেগমের বাড়িতে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়। ছাতক উপজেলা শহর থেকে নৌকায় যেতে হয় সীমান্তের ওই গ্রামে। কাজের ফাঁকে নছিবুন বেগম বলেন, ‘পানিয়ে সবতা তছনছ করি গেছে বাবা। কষ্ট বাড়ছে। হাওরের ঢেউয়ে ঘরের বেড়া ভাঙছে। জিনিসপত্র নষ্ট অইছে। টাকাপয়সা নাই, ইতা জুরাইতাম কিলা।’
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ নুরুল কবির দুলাল
অফিস : অলংকার শপিং কমপ্লেক্স ( তৃতীয় তলা )
থানা : পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম।
মোবাইল নং : ০১৭১৭৩০০৬৪২, ০১৮১৩০২৩০২৯
ই-মেইল : Kabirshah823@gmail.com
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫ কেএসডি নিউজ বিডি